নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামছুল হক এ আদেশ দেন।
অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, আহম্মদ আলী খান ও বেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, রাধে কুণ্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু ও জিল্লুর রহমান, হাট ইজারাদার এইচ এম সোহেল রানা, তৎকালীন পৌর সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০২ সালে আসামিরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ১২ লাখ দুই হাজার ২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানো হয়। এ মামলায় সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয়মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আসামি জিল্লুর রহমান এক লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা তিন লাখ ৫২ হাজার ১২০ টাকা, রাধে কুণ্ডু তিন লাখ ৫০ হাজার, রকিবুল ইসলাম এক লাখ ৮৫ হাজার, ইজাজুল হাসান এক লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা পরিশোধ করবে।