ঝিনাইদহে মাত্র ২০ সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামে ঝড়ের আঘাতে এসব কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। ঝড়ে ঘরের চালা ও টিন উড়ে যায়।এসব টিন গাছে ঝুলতে দেখা গেছে। শত শত গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, আড়মুখী কুটিপাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত একটি বাতাসের ঘূর্ণি প্রায় দেড়শ মিটারের মতো ব্যাস ধারণ করে। প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের ঝড়ে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশ্য একই গ্রামের অনেকের বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ঝড়ের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
ওই গ্রামের আয়ুব মণ্ডল জানান, গ্রামের উত্তর-দক্ষিণ থেকে মোড় নিয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় ঝড়। কালো রূপ ধারণ করে কুণ্ডলি পাকাতে পাকাতে পশ্চিম দিকের পার্শ্ববর্তী কাজুলী গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়ে হালকা হয়ে যায়। এতে গাছপালা এবং কাঁচা ও আধাপাকা ঘরের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘরের আসবাবপত্র উড়ে গাছের ডালে বেঁধে গেছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে স্থানীয় আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী ও একই গ্রামের আরও দুই শিশু দেয়াল চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যার একটু আগে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঝড়ে আড়মুখী গ্রামের কুটিপাড়া থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্তÍ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার দেয়া হচ্ছে।