আজ - সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৮:০৪

ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালেক

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচনী অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
আব্দুল খালেকের আনা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত একটি  হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন এবং বিষয়টি নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেন।
আগামী ১৫ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, আদালত স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন। ফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা রইলো না।
আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের আদেশ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনো পাননি বলে জানান এ আইনজীবী।
গত ২ জুন প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসি ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক ও তাঁর সমর্থকরা মিছিল-শোভাযাত্রা করে ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন, যা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আব্দুল খালেক অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারাভিযানে বাধা দেয়ায় আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। একজন নির্বাচন কমিশনার গত ২৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণ মেনে চলার বিষয়ে মৌখিক অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। এ সত্ত্বেও আব্দুল খালেকের সমর্থকরা ১ জুন অপর প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী ও তার সমর্থকদের আক্রমণ করে আহত করেন, যা বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে প্রকাশ পায়।
উল্লেখিত কার্যক্রম পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর লঙ্ঘন একাধিকবার হয়েছে এবং উল্লেখিত ঘটনাসমূহ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। আব্দুল খালেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করলো।
এ নির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন-নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মোবাইল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম ও হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।

 

খানজাহান আলী  / শ / ঝিনাইদহ

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত