খানজাহান আলী 24/7 নিউজ: যশোর মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দান (টাউন হল মাঠ) সংলগ্ন জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছেন অগ্নি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। তবে দোকানগুলির ওপরে থাকা পলিথিন আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ বলছেন তারা। মূলত পুড়ে যাওয়া প্রতিটি দোকানে স্তরে স্তরে সাজানো কাপড় থাকায় আগুনের প্রকোপ বেড়ে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার ২১ এপ্রিল রাত পৌনে ১১ টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ঘোষণা মতে লকডাউনে গত ১৪ এপ্রিল থেকে এসব দোকান বন্ধ ছিলো। মূলত পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে সামনে রেখে নতুন কাপড়ে ভর্তি ছিলো দোকানগুলো।
এসময় আগুন দেখে একাধিক ব্যক্তি ফায়ার সার্ভিসকে ফোনে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ০৪ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দুই ঘণ্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি তারিক হাসান বিপুল সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মার্কেটের পূর্বপাশের কালু মিয়া, শাহিন, পলাশ, মকবুল, গফুর,বাবু, আমির, হোসেনসহ ১৫টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানিরা নতুন কাপড় তুলেছিলেন। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কামালউদ্দিন ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে আমাদের চারটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, মার্কেটের পেছনে জেলা পরিষদের পাশ থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট কিংবা অন্য কোনও কারণে আগুন লাগতে পারে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান সহকারী পরিচালক।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের একাধিক টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।