আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৫৯

টিকাগ্রহণকারীদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকার সবগুলো ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের বাইরে চলাফেরায় ফেইস মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে । সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মঙ্গলবার এবিষয়ে নীতিমালা প্রকাশ করে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে।

পুরোপুরি টিকাপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রবাসীর ক্ষেত্রে বাইরে একা অথবা সঙ্গীসহ হাঁটাচলা, দৌড়ানো, পাহাড়ে চড়া বা সাইকেল চালনায় এবং ঘরের ভেতরে ছোট জমায়েতে মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। সিডিসির নীতিমালায় বলা হয়, বাইরের পরিবেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার এখন এতোটাই কমে এসেছে যে যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদেরও বাইরে হাঁটা, দৌঁড়ানো, পাহাড়ে চড়ায় বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটানোর ক্ষেত্রে মাস্ক পড়া জরুরি নয়। ছোটখাটো জমায়েতে যেখানে প্রত্যেকেই পুরোপুরি টিকাগ্রহণ করেছেন সেখানেও মাস্ক ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা ফুরিয়েছে বলে জানিয়েছে সিডিসি। তবে দেশের যেসব এলাকায় এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমেনি সেসব এলাকায় এবং বড় জনাসমাগম বা ভিড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কাটেনি বলেও সিডিসির নীতিমালায় সতর্ক করা হয়েছে। সিডিসির পরিচালক ড. রোশেলে ওয়ালেনস্কি বলেন, টিকাদানের হারের ঊর্ধ্বগতি এবং নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা কমতে থাকায় তিনি এখন অনেক বেশি আশাবাদী। কয়েক সপ্তাহ আগেও কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটাই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ডেটাবেজ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে দৈনিক নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা গড়ে ৫৫ হাজার, যা দুই সপ্তাহ আগের হিসাবের চেয়ে ২০ শতাংশ কম। সিডিসি-র এই নতুন পরামর্শ নীতিমালার বিষয়ে মঙ্গলবার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তার প্রশাসনের লক্ষ্য এ বছরের গ্রীষ্মের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকাদানের আওতায় আনা এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া।

এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ মানুষ দুটি ডোজ নিতে হয় এমন টিকার অন্তত এক ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং ২৯ শতাংশ দুই ডোজই নিয়েছেন। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কারণে প্রাণবিপন্ন হওয়ার মতো অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে টিকা খুবই কার্যকর বলে এরইমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত