আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৩০

ঢাকার রাস্তায়ও বেসামাল যানজট, বাড়িফেরা মানুষের চাপ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ঠেকাতে বুধবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে রাজধানী ঢাকারও প্রায় প্রত্যেকটি সড়কে যানবাহন ও মানুষের চাপ বেড়ে গেছে। সোমবার এ চাপ কিছুটা কম হলেও মঙ্গলবার প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েছে।

বাস, প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের জট লেগে আছে মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। এমনকি ট্রাক-পিকআপেও মানুষের চাপ। অনেককে দূরপাল্লার বাস না পেয়ে ট্রাক বা পিকআপেও ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হলে কর্মজীবী অসহায় মানুষের কাজ থাকবে না। বিভিন্ন কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। এরইমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেকের অফিস বন্ধ থাকবে। তাই তড়িগড়ি করে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই।

অনেকে আবার কাজ নেই ঢাকায় বসে থেকে বেশি খরচ, বাসা ভাড়া, খাওয়া-থাকার অসুবিধা, এমনকি সামনে রমজান, এরপর ঈদ, বৈশাখী, পাশাপাশি লকডাউন কতদিন পর্যন্ত হতে পারে, সেই চিন্তা থেকেও রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন। তাই লকডাউনের আগে শেষদিন মঙ্গলবার চিরচেনা সেই যানজটন দেখা যাচ্ছে।

ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সোমবারও ঢাকার রাস্তায় যানজট ছিল। ঢাকা থেকে ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। মঙ্গলবার এ ভিড়-যানজট আরও বেশি। আগামীকাল থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হচ্ছে। এমনকি মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ঘোষিত লকডাউনও চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই বেসামাল চাপ।

রাজধানীর ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘরমুখী মানুষের চলাফেরা ব্যাপক। সড়কগুলোতে চিরচেনা সেই যানজট। এমনকি মোহাম্মদপুরের বিআরটিসি ডিপোর সামনে গাড়ির জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের লাইন ফুটপাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। মহাখালীর দিকেও যানজট লেগে আছে।

এদিকে, করোনাভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী তোলার কথা থাকলেও কিছু গণপরিবহনে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতেও দেখা গেছে। এমনকি গাড়ির অভাবে অনেককে হেঁটে যেতেও চোখে পড়ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার উত্তর-পশ্চিম অংশের গাবতলী পর্যন্ত ডিএমপির এলাকা। কিন্তু ডিএমপির এলাকার বাইরেও গাড়ির চাপ আছে। এ কারণে ডিএমপি থেকে ট্রাফিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবু চাপ সামলানো যাচ্ছে না।

তিনি এও বলেন, লকডাউনে কাজকর্ম নেই। তাই অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটার বিষয়টিও আছে। সবমিলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি চাপ যাচ্ছে দুইদিন ধরে।

এদিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে, ঈদে বাড়িফেরার ভিড়। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। একই চাপ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথেও।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত