আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:৫২

ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ভোট ২৬ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ ও নারী কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৯ জানুয়ারি এ দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এতে জয়ী কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে বর্তমান পরিষদের অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করবে না ইসি। এদিকে জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ ও গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশনের ১৬তম বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সচিব আরও জানান, কমিশন বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সেমিনার করবে কমিশন। ওই সেমিনারের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া বৈঠকে উপজেলা পরিষদের নারী সদস্য পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় অন্য চার কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কর্পোরেশনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ ১ ডিসেম্বর থেকে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে। আইন অনুযায়ী ৯০ দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া দুই সিটির আশপাশের ইউনিয়ন যুক্ত করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ড গঠন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৮ আগস্ট এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট করতে ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়। যদিও এসব ওয়ার্ডে নির্বাচন নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলে আসছেন, এসব ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইনে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদের বিষয়ে কিছু বলা না থাকায় বিষয়টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্পষ্ট করা যেতে পারে। এছাড়া ২ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় তাদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। নইলে এসব কারণে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।তবে নির্বাচন কমিশন সচিব মনে করেন, এ দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা নেই। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আইনগত দিক খতিয়ে দেখেছি, কোনো জটিলতা নেই। কাউন্সিলরদের মেয়াদের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করার দরকার আছে বলে কমিশন মনে করে না। বর্তমান পরিষদের মেয়াদ যতদিন, কাউন্সিলরদের মেয়াদ ততদিন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৩ মে ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ একই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত রয়েছে। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা উত্তরের নতুন মেয়র এবং দুই সিটির ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে সিটি কর্পোরেশনের ওই মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসি সচিব আরও বলেন, নির্বাচনের আগাম প্রচারণার সামগ্রী ৬ জানুয়ারির মধ্যে অপসারণ করতে দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তা সরাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন বৈঠকে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি। এ মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে কারিগরি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে। রংপুরে একটি কেন্দ্রে ব্যবহার করেছিলাম। কারিগরি দিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভিন্ন প্রশ্নে তিনি জানান, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এরই অংশ হিসেবে আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পুরনো ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪টি। আর দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫টি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাইবান্ধায় উপনির্বাচন: ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জের) আসন দুটি শূন্য হলে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ছায়েদুল হক ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত গোলাম মোস্তফা ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। ১৩ মার্চ এ দুই আসনে ভোট নেয়া হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত