আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৪:০৫

তরিকুল মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদক,মেয়ে বাজি, চুরির পর এবার চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ!

খান জাহান আলী 24/7 নিউজ: যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খোলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত অখিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমিদখলের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন একই গ্রামের মৃত মিনাজ উদ্দিনের ছেলে প্রবীন আইনজীবী আব্দুল মান্নান।
মামলার অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে জুুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন কোতোয়ালি থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযাগে বাদী উল্লেখ করেছেন, বাদীর বাড়ির পেছনে তরিকুল জমি বাইনা করে। সেই জমি প্লট আকারে বিক্রি করতে চাই। কিন্তু প্লট তৈরীতে পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় বাদীর জমির এক অংশের উপর রোপন করা গাছ কেটে দখলে নিতে পাইতারা করতে থাকে। কিন্তু আব্দুল মান্নান বিরোধিতা করলে বিভিন্ন সময় তরিকুল নানা ধরণের হুমকি ধামকিও দেয়। সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে আটটায় আব্দুল মান্নান সকালে হাটার পথে তরিকুলের বাড়ির সামনে পৌছালে স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে তরিকুল মান্নানের গতিরোধ করে। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় প্রতিবাদ করলে তলিকুল তার জ্যাকেটের পেছনে গুজে রাখা গাছি দা বের করে আব্দুল মান্নানের গলায় ধরে বলে, জবাই করে লাশ পুকুরে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়। এরপর আব্দুল মান্নানের পাজরে লাথি মেরে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। গলার উপর পা দিয়ে তরিকুল বলে ওই জমির উপর গাছকেটে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। এসময় তরিকুলের সাথে থাকা অন্যরাও অস্ত্রনিয়ে আব্দুল মান্নানকে ঘিরে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। মান্নানের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তরিকুল সহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন বাদী আদালতে এ মামলা করে। আদালত কোতোয়ালি থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। উল্লেখ, এরআগেও গত বছরে জেলা পরিষদের পক্ষথেকে তরিকুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা হয়। সে মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

খোজ নিয়ে যানা যায়, কথিত এই তরিকুল মেম্বার বহু বিতর্কিত একজন জনপ্রতিনিধি। স্থানীয় এমপি’র অধিনস্থ এই তরিকুল আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী যার পরিবারেও জঙ্গি সদস্য আছে।

জানা যায়, এই তরিকুলের ভয়ে দীর্ঘদিন হলো তার নিজ এলাকা খোলাডাংগার সর্ব শ্রেণি পেশার মানুষ জড়সড় জীবন যাপন করছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি তরিকুল ইয়াবা সেবন রত অবস্থায় গ্রেফতার হয়। উপর মহলের ইশারায় ২ লক্ষ টাকার দেন দরবারে ছাড়া পেয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কথিত মাদক সেবী ইউপি সদস্য তরিকুল।
এর আগে তরিকুল মেম্বারের বিরুদ্ধে আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে প্রহার করা ও ইউপি সচিব সালমা কানিজ ডালিয়াকে শারিরিক লাঞ্চিতের দায়ে ০৩ বছর ও মাতাল অবস্থায় পরিষদের নীতি বহির্ভূত পরিবেশ সৃষ্টির দায়ে র ০২ মাস
জন্য ইউপি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়।

জেলা পরিষদের দোকান ভাংচুর ও ট্রেন লাইনের স্লিপার চুরির মামলার আসামি মাদক সেবনকারী তরিকুলের একমাত্র আয়ের উৎস মাদক ব্যবসা। পাশাপাশি কড়া হারে সুদের ব্যবসা ও আছে তার।

আরো সংবাদ