হাসনাত জামিল: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আর হামলার পরিকল্পনার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ আসামীকে। বাকী ১১ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের সময় আটক ৩১ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার ৫২ আসামির ৩ জনের অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় ৪৯ জন আসামীর রায় পড়েন বিচারক। এদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন তারেক রহমানসহ ১৮ জন। রায়কে সামনে রেখে নাজিম উদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসের আশপাশের দোকানপাট ও সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি করা হয় ৫২ জনকে। ২৫ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়। প্রথম অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২০০৮ সালের ১১ জুন এবং প্রথম অভিযোগ গঠন হয় ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর।
পরে ২০০৯ সালে মামলাটিরঅধিকতর তদন্ত শুরু হয়। সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২০১১ সালের ৩ জুলাই। সম্পূরক অভিযোগ গঠন ২০১২ সালের ১৮ মার্চ। মামলার শুনানি হয় ১ হাজার ৪৫৪ কার্যদিবস। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মোট সাক্ষী ৫১১ জন। সাক্ষ্য গ্রহণ হয় ২২৫ জনের। সাফাই সাক্ষী ছিলেন ২০ জন এবং ১৩ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়।