স্টাফ রিপোর্টার।। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার জনসমাগম বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসার জন্য নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু গ্রামের হতদরিদ্র মানুষেরা এ নির্দেশনা পালন করছেন না। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে তারা বেরিয়ে পড়ছেন কাজে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লার চা দোকানিরা দোকান খুলে বসে থাকছেন। আর সেখানে গিয়ে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
যশোরের সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চিত্রটাও একইরকম। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বার বার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও তা মানছিলেন না তারা। এ অবস্থায় চা দোকানিদের ঘরে রাখতে আজ তাদের হাতে চাল ডাল, আলু ও সাবান তুলে দিয়ে ফের দোকান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, বার বার নির্দেশনা দিলেও চা দোকানগুলো বন্ধ করা যাচ্ছিল না। আর চায়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছিল সাধারণ মানুষ। এ কারণে ইউনিয়নের সাড়ে ৩শ’ চা দোকানিকে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আয়ের অর্থ ও জনপ্রতিনিধিদের অনুদানের অর্থে প্রত্যেক চা দোকানিকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল ও ১টি করে সাবান দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও সবাইকে খাদ্য সহায়তা করা হবে।
এদিকে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়ে আজ থেকে আর দোকান খুলবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন ইউনিয়নের চা বিক্রেতারা।
শামসুর রহমান নামে এক চা দোকানি বলেন, ঘরে খাওয়ার মুখ ৫টা। ঘরে বসে থাকলে খাওয়া হবে না। তাই দোকান খুলি। চেয়ারম্যান চাল-ডাল দিয়েছেন, এখনই দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাব। আর খুলব না। চেয়ারম্যান বলেছেন লাগলে আরও চাল-ডাল দেবেন।
আব্দুল খালেক নামে অপর এক চা দোকানি বলেন, ঘরে খাবার থাকলে দোকান খুলব কেন? চেয়ারম্যান খাবার দিয়ে গেলেন, এখন আর দোকান খুলব না অঙ্গীকার করছি।