স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরে মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানের পরিবর্তে অন্যজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো এএসআই আল মিরাজ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় তার পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন কোতোয়ালি থানায় কর্মরত সাইফুল মালেক নামে আলোচিত আরেক দারোগা। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানার মধ্যেই সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন ওই দারোগা।
সূত্র মতে, ২০ জানুয়ারি রাতে একটি বোমা মামলায় যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে তুতলা মিজনকে গ্রেপ্তার করেন কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আল মিরাজ খান। কিন্তু প্রকৃত আসামি সুজলপুরের পাগলা মিজান। কারও কোন কথা না শুনে তোতলা মিজানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এদিকে তোতলা মিজানকে আটকের সময় সাথে ছিলেন একই থানার আলোচিত এসআই সাইফুল মালেক। আটকের পর রাতে থানায় নিয়ে দারোগা সাইফুল মালেক নিরাপরাধ মিজানুর রহমানকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় মেরে বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কাউকে জানাজানি করলে তোকে আবার আটক করে ফেনসিডিল দিয়ে মামলায় দিবো। ফলে থানায় আর কাউকে ভয়ে কিছু বলতে পারেননি। ২১ জানুয়ারি আদালতে প্রেরণ করা হলে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। ফলে বিষয়টি উর্র্ধ্বতন মহলেরও নজরে আসে। আর এ জন্য পরদিন ২২ জানুয়ারি আলোচিত এএসআই আল মিরাজ খান আদালতে ভুল স্বীকার করে লিখিতভাবে দিলে মিজানকে মুক্ত করে দেন বিচারক।
এদিকে বুধবার একজনের পরিবর্তে অন্যজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণের অপরাধে এএসআই আল মিরাজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ফলে বিভিন্ন মহলের দৌড়ঝাপ শুরু করেন ওই দারোগা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানা চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে দেখা আরেক আলোচিত দারোগা সাইফুল মালেকের। সাংবাদিকদের দেখে তিনি গালমন্দ শুরু করেন। এসময় একজন সাংবাদিক তাকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে তিনি দেখে নেয়ারও হুমকি দেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একজনের পরিবর্তে অন্যজনকে আটকের বিষয়ে এএসআই আল মিরাজ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যেই তাকে নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।