ডেস্ক নিউজঃ ছোট বেলায় কিছু ছেলেদের পুলিশ তাড়া করছে দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ওসি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম “উনারা কি করেছে”? প্রত্যুত্তরে শুনেছিলাম “চোরের বাচ্চা চোর তুইও বড় হয়ে চোর হবি”!
ভাগ্য আর নিজের পছন্দে সেই পুলিশেই এসেছি…বাড়িতে গেলে তার সাথে দেখা হয়…মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে…. আপনার ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যা ছিল!
পুলিশ অনেক ভাল ভাল কাজ করে আবার অনেক পুলিশ এত জঘন্য কাজ করে যে লজ্জায় মুখ লুকাই. তখন বলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা…শৃঙ্খলা রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পুলিশকে বাস্তবতা বহুবার জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে…আজ এক অভিনব বাস্তবতার সম্মুখীন আমরা…ভাই,বোন, সন্তানের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি…. ২০০৮ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর আমরাই পুলিশের উপর চড়াও হয়েছিলাম… তখনও পুলিশ সরকারী দায়িত্ব পালন করেছে …এখনো করছে…পার্থক্য এটাই এখন আমিও পুলিশ! নিজেদের “জাস্টিফাই” করব না. বলব না আমরা শত ভাগ সফল .আমাদের ব্যর্থ হওয়ার শত শত কারণ দেখাতে পারব…সেটিও দেখাব না…এখন আর সহমর্মিতা চাই না…অনুজদের দাবি শতভাগ সঠিক …নিরাপদ সড়ক আমার তোমার নয় প্রত্যেকের দাবি…তোমাদের প্লাকার্ডের ভাষা নিয়েও কিছু বলব না…তোমরা কোমলমতি তোমরা দুরন্ত…তোমাদের মধ্যে ওরাও বিচ্ছিন্ন! তোমাদের হেয় করে কিছু বলব না. তোমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাকে মুগ্ধ করেছে…কিন্তু তোমরা দিনে দিনে যে “ষড়যন্ত্রের চক্রবূহে” প্রবেশ করছে…সেটি থেকে বের হওয়ার সুযোগ হয়তো নাও থাকতে পারে. এ সমাজের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তোমাদের নিজেদের যেকোন স্বার্থে ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না. তোমাদের মধ্যে সহপাঠীর প্রতি সহমর্মিতা দেখে আমাদের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে…যারা বলে” ডিজিটাল যুগে সবাই স্বার্থপর-আত্মকেন্দ্রিক”…
তোমরা এবার শান্ত হও…মনে রেখো রাজায় রাজায় যুদ্ধে উলু খাগড়ার প্রাণ যায়…. তোমাদের ইউনিফর্মে আর কোন রক্তের দাগ দেখতে চাই না! তোমাদের অনেকেই একদিন পুলিশ হবে…ভাল পুলিশ হবে…আমাদের ব্যর্থতা মুছে দিয়ে তোমরাই পুলিশের ইমেজ সমৃদ্ধ করবে… পুলিশ সমাজচ্যুত কোন গোষ্ঠী নয়…সমাজের অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে…তোমাদের মত তারুণ্যই আমরা চাই…যারা সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে…ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে