আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:১৫

থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, আশা করি এবার ঢাকা ছেড়ে চলে যাবেন: র‌্যাব ডিজি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে তাদের আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন তাদের ঢাকা ছাড়তে বলেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। নির্বাচনে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের ঢাকা ছাড়তে বলেন তিনি।

র‌্যাব প্রধান বলেন, প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, আশা করি এবার ঢাকা ছেড়ে চলে যাবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় লোক ঢাকায় থাকার দরকার নেই। যদি কেউ থেকেও যান, আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। নির্বাচনের দিন বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই। নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের আগের ঢাকা শহর শুধু ভোটারদের জন্য। 

এ দুদিন নগরবাসীকে পরিচয়পত্র নিয়ে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়ে বেনজীর বলেন, জরুরি বিষয় ছাড়া নির্বাচনের মধ্যে অপ্রয়োজনে বাইরে থেকে ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করব। জরুরি প্রয়োজন, চিকিৎসা, চাকরির সাক্ষাৎকার বা বিদেশ যাত্রার জন্য এলে কোনো সমস্যা নেই। ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অবাঞ্ছিত লোকজন যেন না থাকেন। কেউ নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে প্রচলিত আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রার্থীদের পক্ষে যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন তারা ঢাকা না ছাড়লে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় থাকলে জেলে পাঠাবো এমন নয়, প্রত্যেক মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আছে।

কাউন্সিলর পদে নগরবাসীকে কোনো সন্ত্রাসী, ম্যানহোলের ঢাকনাচোর, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীকে ভোট না দিতে পরামর্শ দেন র‌্যাব প্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচনে র‌্যাব বহুমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কেন্দ্রেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ভোটার নিরাপদ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারবেন। তারা যাকে ইচ্ছে তাকে শান্তিপূর্ণ এবং ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দেবেন। গত নির্বাচনের চেয়ে এবার বেশি র‌্যাব সদস্য মাঠে থাকবেন। প্রতি ওয়ার্ডে একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে পেট্রোলিং থাকবে। ঢাকায় পাঁচটি ব্যাটালিয়নে স্টাইকিং ফোর্স থাকবে, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত ওই টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যাবে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক হেলিকপ্টার থাকবে। বোম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখা হবে। 

বেনজীর আহমেদ বলেন, ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করব। নগরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। প্রয়োজনে চলাফেরা করা নাগরিকদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। ঢাকায় ১২৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। আমরা চাই, একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে। সেজন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে।

আরো সংবাদ