দলীয় কোন্দল ও জামাই ইয়াসিন খুনের প্রতিশোধ নিতেই বিএনপি নেতা মানুয়ার নির্দেশে খুন করা হয় যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে। পুলিশের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত রায়হান আল আমিনসহ তিনজনকে আটক করেছে। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি গাছি দা , একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(১৪ জুলাই) বেলা ১টায় যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, যশোরের এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি রায়হান (২৫) যশোর রেল বোর্ডের টিভি ক্লিনিক মোড়ের ফরিদ মুন্সির ছেলে এবং হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি ইছামীর (২০) শংকরপুর হারানবাড়ি এলাকার বাবু মীরের ছেলে। ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে টিবি ক্লিনিক এলাকা ও খুলনার দিঘলিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে আকবর মোড়ের ভাঙ্গারী পট্টির মসজিদের পুকুর থেকে ওইসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এরআগে এ মামলার আরেক আসামি টিবি ক্লিনিক এলাকার রইছের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আম আমিনকে যশোর র্যাব-৬ এর সদস্যরা আটক করে।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত বদিউজ্জামান ওরফে ধোনি, যশোর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিল। একই এলাকার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি পদ প্রার্থী আসামী শামীম আহম্মেদ মানুয়া এর মধ্যে ধনি’র দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল এবং মানুয়া এর জামাতা ইয়াসিন আরাফাত এর হত্যাকে কেন্দ্ৰ করে সর্বোপরী এলাকায় দলীয় বিএনপি’র আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে বদিউজ্জামান ওরফে ধনিকে হত্যা করা হয়।