জানা যায়, সাকিব-তামিমের মধ্যে বিরোধের জেরেই তৈরি হয়েছে এসব গ্রুপ বা বলয়। দুই শীর্ষ তারকার দ্বন্দ্বে অন্য ক্রিকেটাররাও ভাগ হয়ে আছেন দুই দলে। এমনকি আছে কিছু উপদলও।
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসব গ্রুপ থাকার কথা একেবারেই অস্বীকার করেছেন তামিম, ‘আমি ১৭ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছি, আজ, ৫ বছর আগে, ১০ বছর আগে , ১৬ বছর আগে হোক যখন দল ভালো খেলতো না তখনই এই টার্মটা (গ্রুপিং) ব্যবহার করা হতো। বিভিন্নভাবে এই গ্রুপ, ওই গ্রুপ। শুধুমাত্র বলার জন্য বলা না, যারা আমাকে কাছ থেকে চেনেন আমি খুবই সোজাসাপ্টা লোক। আমি কোনো কিছু লুকিয়ে বলি না… যা বলি সোজা বলবো।’
‘আপনি পছন্দ করেন আর না করেন। আমি ১৬ বছর আগেও গ্রুপিং দেখিনি, ১০ বছর আগেও দেখিনি, এখনও দেখিনি। সবশেষ ৬ মাসে আমি দলের সঙ্গে ছিলাম না, এই জিনিসটা যদি এই ৬ মাসে যদি হয়ে থাকে তা আমি জানি না। ড্রেসিং রুম সবশেষ ৩-৪ দিন ধরে আছি এরকম কিছু দেখিনি। সবাই উপভোগ করছে, আমরা সবাই মজা করি।’
দলে তার ভালো বন্ধু কে? এই প্রশ্ন ওয়ানডে অধিনায়ক হাঁটেন কূটনৈতিক পথে, ‘আমি তাসকিন সঙ্গে ডিনারে যাই। তাইজুল, মিঠুন, শান্তর সঙ্গেও যাই। আমার অনেক বন্ধু। মুশফিকের সঙ্গে ডিনারে যাই। ফ্রেন্ড…দেখেন এটা পেশাদার জায়গা। আমার কাছে মনে হয় যে সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক একই পর্যায়ে থাকবে না। আমি নিশ্চিত আপনার অফিসে সবার সঙ্গে একই সম্পর্ক নেই। কারো সঙ্গে বেশি থাকে, কারো সঙ্গে কম থাকে। কাউকে পছন্দ করেন, কাউকে করেন না। এটা এমনই। শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বের যেকোনো খেলাতেই একই ব্যাপার।’