মুনতাসির মামুন।। কে বিএনপি করেন কে জামাত করেন, কে জাতীয় পার্টি করেন, কে আওয়ামীলীগ করেন এসব দলীয় পরিচয় এখন দেখার সময় নাই। দলীয় পরিচয় টেনে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করার মত মানষিকতা যারা লালন করে তাঁরা আর যাই হোক মানুষ হতে পারেনা৷ আমি ক্ষমতাসীন দলের একজন কর্মী। আমার নেত্রী বিশ্বমানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘূূূূর্ণি ঝড় আম্পানের রাতে সারা রাত ঘুুমাতে যাননি। তাহাজ্জুদের জায়নামাজে রাতভর দেশের মানুষের জন্য সৃষ্টি কর্তার নিকট প্রার্থনা করেছেন৷ একজন রাষ্ট্র প্রধান হয়েও তিনি মায়ের মত আগলে রাখেন সকলকে।
এই করোনা মহামারীর সময় আমি আমার ইউনিয়নে আহ্বান করেছিলাম আপনারা আসেন আমরা একসাথে বসি, গরীব অসহায় দুস্থদের সেবা করি৷ পরে দেখলাম বিএনপি, জামাত ইত্যাদি ইত্যাদি দল রাতের আঁধারে গোপনে তাদের লোকজনের বাড়ী চাল ডাল টাকা পয়সা দিয়ে আসছেন কর্মী ধরে রাখার জন্য।
আর আমি আমার ইউনিয়নে দলমত নির্বিশেষে এমনকি যারা বিএনপি করে লজ্জায় পরিষদে আসেনা৷ আমি তাঁদের বাড়ী থেকে ডেকে এনে ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সকল প্রকারের সরকারি সহযোগিতা নাগরিকদের দ্বার গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।
আবার এই মহামারির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রান বিতরণ করে যাচ্ছি। আমি তো আমার ইউনিয়নে দলমত দেখিনি৷ আমি বুঝি মানুষ মানুষের জন্য। আমার কাছে দলের পরিচয়ের চেয়ে মানুষের পরিচয় অনেক বড়। আমি সকলের নিকট আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করছি। তিনি যেন এভাবে তাঁর সার্বিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে পারেন৷
আজ বৃহস্পতিবার মন্ডলগাতীতে ত্রাণ বিতরণ কালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ইউনিয়নটির ৬ নং ওয়ার্ড মন্ডলগাতী। সেখানে আজও ১০০ পরিবার কে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন শাহারুল ইসলাম।
শাহারুল ইসলাম আরোও বলেন আমার ইউনিয়নে কোন পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভর্তুকি পেতে বাকী আছে বলে আমি মনে করিনা। যার বাচ্চা স্কুলে যায়, প্রাইমারি হলে ৩০০ টাকা হাইস্কুল হলে ১৮০০ টাকা অন্যান্য ভর্তুকি বয়স্ক হলে ৩০০০ টাকা, প্রতিবন্ধী হলে ৪৮০০ টাকা, গর্ভকালীন মায়েরা ৭৫০০ টাকা করে পেয়েছেন ঈদের আগে। আবার এই ইউনিয়নে ১ হাজার মানুষ ঈদ উপহার হিসেবে ২৫০০ টাকা করে পেয়েছেন। অর্থাৎ ৮ হাজারের অধিক মানুষ শেখ হাসিনার ভর্তুকি পেয়েছেন । তাঁর প্রদত্ত সেবা ভোগ করেছেন।
কে কোন দলে ভোট দেন সেটা বিষয় না । যে মানুষটা আপনাদের জন্য এত কিছু করেছেন সেই মানুষটির প্রতি শুকরিয়া আদায় করে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলেন, তার জন্য দোয়া করেন।
আমি এরশাদ সরকার বেগম জিয়ার সরকারের শাসন আমল দেখেছি । বর্তমানে ক্ষমতাশীল দলের একজন কর্মী আমি । আমার নেত্রীর শাসন আমলও দেখছি মানুষ কি চায় , কে কোন কষ্টে আছে তার খবর তিনি রাখেন, বিশ্ব মানবতার মা তিনি এমনি এমনি হননি । আমি আবারও আমার নেত্রীর জন্য সকলের নিকট অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা মীর হোসেন খান, সোবহান হাওলাদার সুরত, নূর ইসলাম নূর, কার্তিক চন্দ্র পাল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম সাজু , রিপন হোসেন, ধর্মতলা ইজিবাইক মালিক চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ।