আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৪:১৯

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত

জেলার সদর উপজেলার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন সড়কে তেলবাহী লরির চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে মোটর সাইকেল আরোহী নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ হোসাইন ।
দিনাজপুর ট্রাফিক পুলিশের  পরিদর্শক এ টি এম তৌহিদুল ইসলাম আজ দুপুর ২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় জেলার বিরল উপজেলার তেঘরা দারুল হাদীস সালাফিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহ্্তামিম মোহাম্মদ হুসাইন তার স্ত্রী, কন্যা ও শিশু পুত্রকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ গ্রামের বাড়ী চাপাইনবাগঞ্জ জেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মোটরসাইকেলটি দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের কাছে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী লরির চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী  মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৫) ও তার কন্যা ফাহিমা আক্তার (১২)মারা যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিন বছরের শিশু সন্তান নাসিরুল্লাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু নাসিরুল্লাহ দুপুর আড়াইটায় মারা যায়। নিহত তিনজনের লাশ আজ বুধবার বিকেল ৪টায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
ময়না তদন্তের পর আহত মোহাম্মদ হোসেন নিহত স্ত্রী, কন্যা ও শিশুর মরদেহ নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নিজ গ্রামের বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার টিকরি গ্রামের উদ্দেশ্যে বিকেল ৫টায় রওয়ানা দেন।
দিনাজপুর সদর কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ তানভির হাসান জানান, নিহত তিনজনের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। জীবিত থাকা মোটর সাইকেল চালক মোহাম্মদ হোসেনকে (৪৮) চিকিৎসা দিয়ে পুলিশের তত্ত্বাবধানে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নিহত স্ত্রী, কন্যা ও শিশুর মরদেহসহ তার গ্রামের বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জে প্রেরণের ব্যবস্থা  নেয়া হয়।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক লরিটিকে সনাক্ত করা হয়েছে। ঘাতক লরি ও চালককে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

আরো সংবাদ