মিয়ানমারে দুর্নীতির মামলায় দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে জান্তা সরকারের বিশেষ আদালত। আগের রায় মিলিয়ে এ নিয়ে সু চির মোট ১১ বছরের সাজা হলো। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ইতোপূর্বে আরও দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ৭৬ বছরের সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। জান্তা সরকারের আনা এসব মামলার প্রথমটির সাজার রায় দেওয়া হয়েছে বুধবার। এখনও বিচারাধীন আছে আরও ১০টি মামলা। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি।
বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হলেও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আদালতের বাইরে প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশটির জান্তা সরকার। সু চির আইনজীবিদেরও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বুধবার সু চিকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
একসময় সু চির সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গত অক্টোবরে দেওয়া সাক্ষ্যে নিজের নেত্রীকে ঘুষ দেওয়ার কথা ‘স্বীকার’ করেন ফিও মিন থেইন। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।