যশোর শহরের দড়াটানায় ট্রাফিক পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করার অভিযোগে ওলিয়ার রহমান (২৩) নামে এক কথিত মানবাধিকার কর্মীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ওলিয়ার নিজেকে হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির সহঃ সম্পাদক বলে দাবি করেছেন।
আজ মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষন আগে একটি হেলমেট বিহীন দ্রুতগতির মটর সাইকেলের গতি রোধ করে দড়াটানা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় মটর সাইকেল আরোহি বলেন আমি মসজিদের ইমাম, আজানের সময় হয়ে এসেছে আমাকে দ্রুত মসজিদে পৌঁছুতে হবে। তখন মানবিক দিক বিবেচনা করে বিনা বাক্য ব্যায়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহরাব তাঁকে ছেড়ে দেন। তখনই ঘটে বিপত্তি!
যশোর সিটি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কথিত মানবাধিকার কর্মী ওলিয়ার রহমান (২৩) ঝাপিয়ে পড়েন পুলিশের উপর এবং নিজ হাতে ইমাম সাহেবের মটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেন। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। কারন জানতে চাইলে ওলিয়ার নিজেকে মানবাধিকার কর্মী দাবি করে বলেন কোন আইনে তাঁকে ছাড়া হলো ? হেলমেটবিহীন মটর সাইকেল হওয়া সত্ত্বেও কেন তার বিরূদ্ধে মামলা হলোনা?
এমত অবস্থায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কথিত মানবাধিকার কর্মী ওলিয়ার কে জানান ইমাম সাহেবের সম্মান ও তাঁর দায়িত্বের দিক বিবেচনা করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই জবাবে ওলিয়ার নিভৃত না হলে স্থানীয় জনতা ফুঁসে ওঠে কথিত মানবাধিকার কর্মী ওলিয়ারের উপর। তখন বিচ্ছিন্ন ঘটনা এড়াতে পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কাছেই অবরূদ্ধ করে রাখে।
পরে কথিত মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির আরেক সদস্য এসে ক্ষমা চেয়ে তাঁর নিজ জিম্মায় ওলিয়ারকে ছাঁড়িয়ে নিয়ে যায়। হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির অফিস কোথায় জানতে চাইলে ওলিয়ার জানান চাঁচড়ার শাড়াপোল বাজারে আমাদের অফিস এবং হেড অফিস ঢাকাতে।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, এরা মূলত টাউট। এরা অবৈধ পন্থায় উপর্জনের জন্য মানবাধিকারের নামে এক একটি সংগঠন খুলে বৈদেশিক সাহায্য সহোযিগতা আত্মসাৎ করে। এদের জন্য প্রকৃত মানবাধিকার সংগঠন গুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / মুনতাসির মামুন