আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:৪৩

ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

বাজারে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘট ১০ দিন থাকলেও ঢাকার চালের বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সাত দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, তাতে ঢাকার বাজারে (দাম বাড়ার) বিন্দুমাত্র কারণ নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না, গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।’

বুধবার সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি কারসাজি না করে, তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। আর যদি কেউ এমন পরিস্থিতিতে অনৈতিকভাবে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। তা সহ্যও করা হবে না।’

তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল আছে, সেখানে পরিবহন ধর্মঘট যদি আট থেকে ১০ দিনও চলে তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।

তিনি আরও বলেন, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা। খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেয়া হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, চ্যানেলে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জেনেছি। আমাদের দেশে চালের মজুতের কোনো ঘাটতি নেই। মিল মালিক ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে মজুতের কোনো ঘাটতি নেই, আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, আমরা আরও রফতানি করা জন্য প্রস্তুত আছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, কেউ যদি বৃদ্ধির চেষ্টা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, ভোক্তা অধিকারে চিঠি দিয়েছি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যদি অনাহুত কেউ চালের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে কোনোক্রমেই সহ্য করা হবে না, প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বেলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মিল মালিকদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করলাম, কোনো কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়নি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধানের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে, তবে বাজার এখন স্থিরের দিকে আসছে। আমন ধান একেবারে উঠলে এ রকম হত না।’

আরো সংবাদ