ধর্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বালিয়া ভেকুটিয়ার আবু হোসেনের ছেলে বিল্লাল (২৩) কে বেধড়ক পিটিয়ে আটক করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ । গেল ৮ জুলাই দিবাগত রাত পৌণে ২ টার সময় তাঁকে নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়।
গত ২রা জুলাই যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউসুফ আলী (৫২) কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কে গণপিটুনি দেন এলাকাবাসী। এ সময় একই স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম উত্তাল জনতার মধ্যে এসে ধর্ষনচেষ্টাকারী শিক্ষক ইউসুফ কে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও গণপিটুনি দেন এলাকাবাসী। পরে তাঁদের পুলিশে হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফ কে আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
ঘটনা এখানেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। এলাকায় নিজের অাধিপত্য বিস্তার করতে দীর্ঘদিন থেকে মরিয়া কথিত যুবলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান শহীদ শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে হামলা করা হয়েছে দাবি করে, তাঁকে প্রভাবিত করে জাহাঙ্গীর আলম কে দিয়েই মামলা ঠুকে দেন বিল্লাল সহ মোট ৬ জনের বিরূদ্ধে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফ ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে লম্পটের পক্ষে বিভিন্ন মহলে ভুল তথ্য সরবরাহ করে চলেছে শহীদ ।
এ ঘটনায় এলাকায় চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে, ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ কে ভিন্নক্ষাতে প্রভাবিত করার জন্য শহীদ এ সকল আয়োজন করেছে দাবি এলাকাবাসী। তাঁরা লম্পট শিক্ষক ইউসুফ সহ তাঁর মদদ দাঁতা শহীদকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।