কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
সোমবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভাঙন পরিদর্শন শেষে ড. আব্দুর রাজ্জাক এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা যে পর্যন্ত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারবেন ততদিন পর্যন্ত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া এতিমের টাকা চুরি ও আত্মসাৎ করায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। তাকে যদি জেল থেকে বের হতেই হয় তাহলে উচ্চ আদালত থেকে তাকে জামিনে মুক্ত হতে হবে। আন্দোলন করে বিএনপি অতীতেও সফল হয়নি এবারও হবে না। বেগম জিয়া যদি সত্যিকার অর্থে অসুস্থ হন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারোলের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-কলেজ রাস্তা-ঘাট দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিতে এসেছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি চক্র গুজব ছড়াচ্ছে। এর আগেও সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। গুজবে কেউ কান দিবেন না।
তিনি বলেন, ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে ২ হাজার জমির উপর ৩-৪ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে অর্থনৈতিক জোন নির্মাণ করা হবে। এতে করে এই অঞ্চলের কেউ আর বেকার থাকবে না।
পরে কৃষিমন্ত্রী টেপিবাড়ি ভাঙন পরিদর্শন শেষে উপজেলার গাবসারা, নিকরাইল ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি ছোট মনির,জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম অ্যাডভোকেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ, ভূঞাপুর পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ প্রমুখ।