সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সমলোচনা করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘শাজাহান খান এখন নৌকা ছেড়ে আনারস ধরেছেন। প্রয়োজনে তিনি নৌকা করেন। স্বার্থে না লাগলে নৌকা ভুলে যান। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা মাদারীপুর-২ আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
কিন্তু এই শাজাহান খান নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে।
বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশ্ন করে বলেন, কোন আওয়ামী লীগ নেতা কি তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে ছুটে যেতে পারেন? কিন্তু তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ধানের শীষের মনোনয়ন আনতে। সেদিন আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ছবি, নৌকা প্রতীকে অসম্মান করেছিলেন এই শাজাহান খান।
তিনি মন্ত্রী হয়ে কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে থাকেননি। থেকেছেন তার গণবাহিনী ও জাসদের নেতাকর্মীদের নিয়েই। তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের চেতনা ধারণ করেননি। সব সময় নৌকায় চড়ে সুবিধা নিয়ে এখন নৌকার বিরোধীতায় নেমেছেন। আজকে সময় এসেছে এই দেশ বিরোধী, চেতনা বিরোধী, আওয়ামী বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করা।
বুধবার রাতে মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া বন্দর এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বচনের নৌকা প্রার্থীর পক্ষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গত মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা নৌকা নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন তারা যদি নৌকার বিরোধীতা করেন, তাহলে তারা আর জীবনেও নৌকা মার্কা পাবেন না।
এ সময় আফম বাহাউদ্দিন নাছিম আরো বলেন, এবার সদর উপজেলায় নৌকার বিরোধীতা করায় চিরদিনের জন্য নৌকা বঞ্চিত হলেন শাজাহান খান। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা আমার নৌকায় চড়ে নৌকার বিরোধীতা করে তাদের আর কোনদিন নৌকায় জায়গা দিব না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাহার সরদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক প্রমুখ।
খানজাহান আলী 24/7 নিউজ // সোহেল আরমান।