হেফাজতের আন্দোলনকে লক্ষ্যহীন ও ভু’ল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহম’দ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী। তবে এ আন্দোলন ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও মনে করেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে সমকালের স’ঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ভু’ল আন্দোলনের খেসারত হিসেবেই নিরীহ ছাত্রদের প্রা’ণ গেছে বলেও মনে করেন আনাস মাদানী।
আলাপচারিতায় মাওলানা আহম’দ শফীর হেফাজতে ইসলামকে ‘প্রকৃত সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে তার অনুসারীদের নিয়ে সংগঠনটিকে নতুন করে গোছানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন এই হেফাজত নেতা।
আনাস মাদানী বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, নরেন্দ্র মোদি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান নয়; বরং একটি দেশের স’রকারপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
এতে দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সুযোগ দেখা দিয়েছিল স’রকারপ্রধানের মাধ্যমে কোনো দাবি থাকলে তা তুলে ধরার। বিশেষ করে, ভারতে মু’সলিম ও সী’মান্তে বিভিন্ন হ’ত্যা বন্ধসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরা যেত।
কিন্তু তা না করে নিরীহ ছাত্রদের রাজপথে, সং’ঘাতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত- সেটা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ভবি’ষ্যতে কিছু করতে গেলে এসব বি’ষয় ভাবতে হবে এবং ভেবেচিন্তে সি’দ্ধান্ত নিতে হবে।’
প্রস’ঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যারা হেফাজতে আছেন, হেফাজতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উৎপাতে সবাই অ’তিষ্ঠ। ধীরে ধীরে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।’
‘একসময় আমাদের স’রকারের দালাল বলে অ’পবাদ দেওয়া হতো। কিন্তু কারা যে দালাল, সেটাও এখন বেরিয়ে আসছে। হেফাজতের নামে যা করা হচ্ছে, তাতেই তাদের আসল রূপ বেরিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারিনি। তবে দ্রু’ত সময়ের মধ্যে যাতে মাঠে আসা যায়, সে জন্য সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের মুরব্বিসহ সবার স’ঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করছি। আমাদের অনেক মুরব্বি রয়েছেন, যারা নেতৃত্ব দিতে পারেন। কিন্তু আপাতত কাউকে আনছি না। সবাই মিলেমিশে কাজ করছি। সময় হলে এ বি’ষয়ে ঘোষণা দেব।’