আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ২:৩২

নওগাঁয়ের সুইট স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান

জেলায় বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন আব্দুল লতিফ সুইট নামের এক কৃষক। সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে নিজস্ব ২৫ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে মাত্র তিন মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ করেছেন। যা অন্য যে কোন সবজি চাষের থেকে অনেক বেশী লাভজনক।
আব্দুল লতিফ সুইট জানান, তিনি গত ডিসেম্বর মাসে পলিথিনে বীজ বপন করে তাতে চারা গজিয়ে নেন। চারা তিন ইঞ্চি পরিমাণ হলে তা জমিতে রোপণ করেন। বীজ বপন, পলিব্যাগ তৈরী, জমি চাষ, জমিতে চারা রোপণ, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ তাঁর সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে স্কোয়াশ উত্তোলন করতে শুরু করেন। তাঁর ঐ জমিতে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২শ মণেরও বেশী স্কোয়াশ উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি করেছেন ১৮০ মণ স্কোয়াশ। বাজার মূল্য সর্বনি¤œ প্রতিমণ ৬শ টাকা হিসেবে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। খরচ বাদ দিয়ে এ জমি থেকে তিনি নীট লাভ করেছেন প্রায় ৯৩ হাজার টাকা।
এ ছাড়াও জমিতে দেখতে আসা মানুষ, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ মণ  স্কোয়াশ খাওয়ার জন্য বিনামমূল্যে বিতরণ করেছেন যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।
তিনি জানান তাঁর এ জমিতে এর আগে সাধারণত এ সময় আলু চাষ করতেন। এ জমিতে আলু উৎপাদিত সর্বোচ্চ ৫০ মণ। বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতিমণ আলু ৬০০ টাকা হিসেবে বিক্রি মূল্য আসতো ৩০ হাজার টাকা। অপরদিকে আলুর উৎপাদন খরচ স্কোয়াশের থেকে অনেক বেশী হতো। ফলে খুব বেশী লাভ হতোনা। কিন্তু স্কোয়াশ চাষে তাঁর বেশী লাভ হয়েছে।
স্কোয়াশ চাষে তার অভাবনীয় সাফল্য এবং অধিক লাভ দেখে আরও অনেকেই স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পার্শ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের জসিমুদ্দিন ও আসাদ হোসেন এবং ফতেপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম বলেছেন সুইটের স্কোয়্শা চাষ দেখে তাঁরাও উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। তাদের জমিতে স্কোয়াশ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, তিনি ফতেপুর গ্রামের উক্ত সুইটের জমিতে স্কোয়াশ চাষের কথা তিনি জানেন। তিনি বলেন নওগাঁ’র জমির প্রকৃতি ও পরিবেশজনিত কারণে স্কোয়াশ চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে উক্ত সুইটকে সার্বাত্মক পরামর্শ সহযোগিতা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন যারা স্কোয়াশ চাষে এগিয়ে আনবেন তাঁদের কৃষি বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত