আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৫

নওয়াপাড়া পৌরসভায় ভোট ১১ এপ্রিল

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যশোরের শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ‘নওয়াপাড়া পৌরসভা’য় আগামী ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার নির্বাচন কমিশন এ পৌরসভার ভোট গ্রহনের তফসিল ঘোষণা করে।


১১ এপ্রিল এ পৌরসভায় ইভিএম এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসি সচিব জানিয়েছেন। এর আগে নওয়াপাড়া পৌরসভায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে কিনা এ নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছিলো নানা আলোচনা-সমালোচনা।


উচ্চ আদালতে সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত একটি রিটের ঘটনা নিয়ে এসকল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে বুধবার তফসিল ঘোষণার পর থেকে নওয়াপাড়া পৌরবাসীসহ রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ উচ্ছ্বলতা দেখা গেছে। সেই সাথে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে পৌর নির্বাচনের সম্ভাব্যপ্রার্থীরা। প্রথম ধাপ থেকে পর্যায়ক্রমে পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত প্রতিবারই উৎসাহ নিয়ে সম্ভাব্যপ্রার্থী ও ভোটাররা প্রতিক্ষায় থেকে থেকে অনেকেই আশংকায় ছিলেন আদৌ নওয়াপাড়া পৌরসভায় ভোট গ্রহন হবে কিনা।


সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছিলো গা-ছাড়া ভাব। তবে গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন থেকে ৬ষ্ট ধাপের পৌর নির্বাচনে নওয়াপাড়া পৌরসভার নাম ঘোষণা দেয়ায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তফসিল ঘোষণার পর পরই শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা আগে থেকেই দলীয় টিকিট পেতে লবিং চালিয়ে আসছিলো। যা আরও জোরেশোরে শুরু হয়েছে। তবে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের স্ব-স্ব এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মোড়ে ময়দানে গণসংযোগ শুরু করতে দেখা গেছে।


পাশাপাশি তারা দলিয় লবিং গ্রুপিংও শুরু করেছে। দলিয় সাপোর্ট পেতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে। ভোটাররাও নিজেদের মাঝে আসন্ন পৌরসভার ভোট নিয়ে নানামুখি আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। ইসি সচিব জানিয়েছেন, ষষ্ঠ ধাপে আগামী ১১ এপ্রিল নওয়াপাড়া পৌরসভাসহ একই তফসিলে ১১ পৌরসভায় ভোট হবে।


সবখানে ইভিএমে ভোট হবে। এদিকে প্রথম ধাপে দেশজুড়ে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ এপ্রিল। এসব ইউনিয়নের ৩০টিতে ভোট ইভিএমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভা নির্বাচন শেষ করে এবার ইউনিয়নে ভোট শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় অনুমোদনের পর ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।


এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, ইলেকশন কমিশনের যে অবস্থান, সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই। বুধবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়ে চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে, এই কমিশন কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের যোগ্য নয়।


এই সরকার অনির্বাচিত একটি সরকার এবং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই কমিশনের প্রধান কাজ। বিএনপির এই ঘোষণার মধ্যে দেশের ইউপিগুলোতে ভোট শুরুর লক্ষ্যে প্রথম দফায় ৩৭১টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল বুধবার ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।


বিষয়টি ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সামনে আনা হলে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করার একটা প্রিন্সিপাল আছে আমাদের। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যারা থাকেন; সবাইকে নিয়োগ করে থাকি।


প্রয়োজনে বিজিবি নিয়োগ করে থাকি। বিএনপি না আসলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়টি বলছেন, নির্বাচন হবে আমাদের একবারেই ফ্রি। ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সময় এখনো আছে। এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না।


আমরা যেটা বলতে চাই, আমারা সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই। আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ৩৭১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।


এরমধ্যে ৩০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে হলেও সদস্য পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে ইউপিতে।

আরো সংবাদ