আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৪:২৮

নম্বর কম দেয়ায় শিক্ষককে গাছে বেঁধে পেটালো ছাত্ররা

গণিত পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া সরকারি স্কুলের শিক্ষককে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা জেলার গোপীকান্দার থানার তফসিলি জাতি আবাসিক স্কুলে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবদনে বলা হয়, শনিবার ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (জেএসি) গণিতের ফল ঘোষণা করার পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। স্কুলের নবম শ্রেণির ১১ জন শিক্ষার্থীকে গণিত পরীক্ষায় ৩২ নম্বরের মধ্যে ‘ডাবল ডি’ গ্রেড দিয়েছিলেন শিক্ষক। যা ফেল করার সমান।

পুলিশ জানায়, যে ১১ জন শিক্ষার্থীকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন কুমার এবং সোনেরাম চৌরে এক কেরানিকে(লেখক কর্মচারী) ঘেরাও করে। তার পর তাঁদের গাছে বেঁধে মারধর করে।

গোপীকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিত্যানন্দ ভক্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানান, এই ঘটনায় কোনও এফআইআর করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনও অভিযোগ দেননি। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। কিন্তু তাতেও তাঁরা রাজি হননি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা যদি পুলিশে অভিযোগ করেন, তা হলে ছাত্ররা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।

গোপীকান্দারের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার অনন্ত ঝা জানান, স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এই ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, স্কুলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নবম এবং দশম শ্রেণির কার্যক্রম দুইদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অনন্ত ঝা বলেন, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর এবং কোন দিন সেই ফল ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন তা স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি। তাই বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, ছাত্ররা থিওরিতে ফেল করেছে, নাকি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায়। প্রাথমিক ভাবে যেটা জানা গিয়েছে তা হল, গুজবের কারণেই ছাত্ররা হামলা চালিয়েছে।

অপরদিকে ছাত্রদের অভিযোগ, শিক্ষক ইচ্ছা করেই তাদের ফেল করিয়েছেন। এই ঘটনার জন্য সমান ভাবে দায়ী স্কুলের কেরানিও। তিনি জেএসি-র ওয়েবসাইটে এই ফল আপলোড করেছেন বলে দাবি ছাত্রদের।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত