জাতিগত জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি ও নাগরিকত্ব দিলে, তবেই মিয়ানমারে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় এ কথা জানান রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে দেশটির প্রতিনিধি দল। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।
আলোচনায় বসলেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ভয়াবহ স্মৃতি ভোলেনি রোহিঙ্গারা। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি ও নাগরিকত্ব না পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না তারা। একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘আমাদের নিয়ে অনেক আলোচনা-বৈঠক হয়েছে। আমরাও অনেক আলোচনা করেছি। আমাদের মূল দাবি, নাগরিকত্ব দিতে হবে। তারা যদি মেনে নেয়, তাহলেই ফিরে যাবো।’
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তাও চেয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরইমধ্যে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার কয়েক দফা সংলাপ হলেও, এখনও একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফিরতে পারেনি।
এদিকে, মিয়ানমারের যে নাগরিকত্ব আইন রয়েছে, তাতে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে। তিনি জানান, ‘আইন অনুযায়ী, যারা মিয়ানমারে তিন প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন, তারাই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের জন্য বিষয়টি সহজ হবে না।’