আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৪:৪৭

সাংসদ নাবিলের কালো হাত ইয়াবা সহ আটক – কাজ হয়নি রক্ষাকবচে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহম্মেদ ও উপজেলা অা’লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথের শেল্টারে থাকা ইয়াবা ডিলার পলাশ দত্ত ওরফে কালো পলাশকে ৫২ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ দত্ত দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে বড় বড় চালানে ইয়াবা ট্যাবলেট যশোরে নিয়ে আসে। এরপর সেই ইয়াবা যশোরসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রি করে। এছাড়া যশোর শহরের মণিহার, আরএন রোড, বেজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি সাপ্লাই দিয়ে আসছে। তিনি বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে যশোর শহরে বিক্রি করার কারণে সম্প্রতি প্রশাসনের নজরে আসে। পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরতে সচেষ্ট ছিল। যদিও কিছুদিন আগে একবার পুলিশের হাতে আটক হয়। সে সময় যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের তদবিরের কারণে তাকে ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। অবশ্য এজন্য ৮০ হাজার টাকা পুলিশকে দেওয়া হয় বলে চাউর রয়েছে।

বুধবার সকালে শহরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের মৃত দুলাল দত্তের ছেলে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছে।

সূত্র জানায়, শুধু ইয়াবা নয় ফেনসিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য এলাকায় বিক্রির সাথে জড়িত পলাশ দত্ত। এতে উঠতি বয়সের যুবকেরা দিনেদিনে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। কিছু বললেই মোহিত নাথের ভয় দেখিয়ে পলাশ বলে এ সব মোহিত দা’র মাল।

কালো পলাশ এমপি কাজী নাবিল আহম্মেদ এবং মোহিত কুমার নাথের ছবি সংবলিত ব্যানার শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে রক্ষাকবচ তৈরি করলেও শেষরক্ষা হয়নি।

তবে এবার তার রক্ষা হয়নি। বুধবার ভোরে পলাশ মণিহার সিনেমা হলের সামনে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার এসআই সাহিদুল আলম সেখানে অভিযান চালান। পুলিশি অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে পলাশ। ধাওয়া করে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর পলাশের পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে ৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এদিনই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া সাংসদ নাবিল আহমেদ একজন মিষ্টভাষী স্বজনব্যক্তি, মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বরাবরই অবস্থান তার। শুধু দক্ষিণ বঙ্গের অন্ধকার রাজ্যের মাদক সন্ত্রাসের সম্রাট মোহিত নাথ ও তার শীর্ষ হত্যা সহ ডজন খানেক মামলার আসামি মেহবুব আলম ম্যানসেল’দের বেতন দিয়ে পোষেণ। ওপার বাংলা থেকে বর্ণচোরা সন্ত্রাসী ফিঙ্গে লিটনের পাঠানো অস্ত্রের চালান এপার থেকে রিসিভ করে ম্যানসেল বাহীনি- পরে শহরের ষষ্টিতলা এলাকা হতে ছড়াছড়ি হয়। অজ্ঞাত কারনে পুলিশ ম্যানসেল দের আটক করেনা।

আরো সংবাদ