জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে উপজেলা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন গৃহবধূ পারভীন আক্তার মুনি (২৫)। নিখোঁজের ১২ দিন পর সেই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর থেকে মুনিসহ তার দ্বিতীয় স্বামী পরিচয় দেয়া এক যুবককে উদ্ধার করে জয়পুরহাট থানায় নেয়া হয়েছে।
৮ বছর আগে ক্ষেতলাল উপজেলার দামগর গ্রামের বাসিন্দা মোকাদ্দেস হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বানিয়াপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ফেজুর ছেলে শামীম হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ বছরের একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া সরদার পাড়া গ্রাম থেকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন পারভীন আক্তার মুনি। এ ঘটনায় মুনির স্বামী শামীম ও পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও মুনির সন্ধান মিলেনা।
এ ঘটনার পর ২১ জানুয়ারি মুনির বাবা মোকাদ্দেস হোসেন বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তারা স্বামী, শ্বশুর ও স্বামীর ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে যৌতুকের কারণে মারধর, অপহরণ ও গুমের অভিযোগে করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় স্বামী শামীম হোসেন, তার ভগ্নিপতি ব্রাইট ও স্থানীয় রুকু হাসান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিখোঁজের ১২ দিন পর পুলিশি অভিযানে গাজীপুর থেকে ওই গৃহবধূ ও তার দ্বিতীয় স্বামী পরিচয় দেয়া এক যুবককে উদ্ধার করে জয়পুরহাট থানায় নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, মেয়ে পক্ষ সাধারণ ডায়েরি থেকে মামলা দিয়েছে। আমরা অধিকতর তদন্ত করে ওই মেয়েকে উদ্ধার করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত নিখোঁজের কারণ জানা যাবে।