আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি প্রটোকল পছন্দ করি না এবং নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগি না যে, আমাকে এভাবে রিসিভ করা লাগবে। আমি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে (সভাবেশস্থলে) পৌঁছে যাব।’অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন মাশরাফি।
‘জনতার মুখোমুখী জনতার সেবক’ নামের একটি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে একদল মানুষ উচ্চশব্দে হর্ণ বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেলের একটি বিরাট বহর নিয়ে পথচারীদের কষ্ট দিয়ে মাশরাফিকে রিসিভ করতে যায় এবং একইভাবে সভাস্থলে যায়। তাই তাদের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘আমাকে এভাবে রিসিভ করার কোনো প্রয়োজন নাই। এ বিষয়ে আমি সম্মানিত বোধ করা তো দূরের কথা বরং সবসময় বিব্রত হই।’জনদুর্ভোগ এড়াতে মাশরাফি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ওই স্ট্যাটাসে।
মাশরাফির স্ট্যাটাসটি যুগান্তর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত এলাকাবাসী,
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নভিত্তিক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত, অভাব-অভিযোগ, প্রত্যাশার কথা শুনছি, যার মাধ্যমে আমি সরাসরি আপনাদের মনের কথাগুলো জানতে পারছি এবং আমার কথাগুলোও সরাসরি আপনাদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছি।
প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনারা জানেন, আমি প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ছুটে যাচ্ছি। যখন যে ইউনিয়নে যাচ্ছি, সেখানে একান্তই ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের কথাগুলো শুনতে চাই, যেন একজন মানুষ কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে সরাসরি আমার সঙ্গে তার কথাগুলো বলতে পারেন। সবার সামনে না বলা গেলে লিখিতভাবে গোপনে আমাকে দিতে পারেন, এই পরিবেশটি বজায় রাখার জন্য আয়োজকদের আমি বরাবরের মতো এবারও অনুরোধ করছি। কেউ যেন কথা বলতে এসে ফিরে না যান, আয়োজকদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
আমি আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, আমি যখন যেখানে যাই, উচ্চশব্দে হর্ণ বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে একদল মানুষ মোটরসাইকেলের একটি বিরাট বহর নিয়ে পথচারীদের কষ্ট দিতে দিতে আমাকে রিসিভ করতে আসে এবং একইভাবে আমাকে নিয়ে সভাস্থলে যায়। আমি তাদের উদ্দেশে বলব, আমাকে এভাবে রিসিভ করার কোনো প্রয়োজন নাই। এ বিষয়ে আমি সম্মানিত বোধ করা তো দূরের কথা বরং সবসময় বিব্রত হই।
আমার নড়াইলের সচেতন জনসাধারণও এটি কখনোই পছন্দ করবেন না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি প্রটোকল পছন্দ করি না এবং নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগি না যে, আমাকে এভাবে রিসিভ করা লাগবে। আমি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছে যাব।
আপনারা যদি কেউ যেতে চান, সরাসরি সভাস্থলে চলে যাবেন, ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে কথা বলবেন, না হলে কখনো এমন পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না যেন আপনার/ আপনাদের কারণে ওই ইউনিয়নের জনসাধারণ আমার সঙ্গে কথা বলা থেকে বঞ্চিত হন এবং মহোত্তম এই সভাটি আপনার/আপনাদের কারণে কোনো প্রকারে নষ্ট হয়।
আমি স্পষ্টভাবে বলছি, যখন যে ইউনিয়নের এই সভায় আমি যাব তখন সেই সভাটি একান্তই ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের জন্য সংরক্ষিত। সার্বিক এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে আমি সংশ্লিষ্টদের আবারো অনুরোধ করছি।