ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা উপকূলে সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন দাকোপ-কয়রাসহ অন্যান্য উপজেলার মানুষ। উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। জেলার ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার সমকালকে জানান, দুপুর আড়াইটায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০২৪-৭৭৭২৬৫৯২।
উপকূলীয় উপজেলায় চলছে মাইকিং। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে উপকূলের সকল মসজিদে মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, কয়রায় ১১৭টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, পাইকগাছায় ৩২টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি ও দিঘলিয়ায় ১৬টি।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সমকালকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।