আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:৫০

নির্মাণাধীন রাস্তা থেকে ব্লাকটপ চুরির অভিযোগ

নওগাঁর সাপাহারে পুনঃ নির্মাণাধীন একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের প্রায় ১৫ ট্রলি ব্লাকটপ চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার আনুমানিক মূল্য অন্তত ২০ লাখ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ীপুকুর হতে মধুইল পুনঃ নির্মাণাধীন রাস্তায়।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাহাড়ীপুকুর হতে মধুইল রাস্তার কাজ শুরু হয় বেশ কিছুদিন আগে। যার ফলে রাস্তা উল্টিয়ে নতুনভাবে কাজ শুরু করা হয়।

নিয়মানুযায়ী পূর্বের রাস্তার ব্লাকটপ মিশ্রিত করে নতুন রাস্তার কার্পেটিং দেওয়ার কথা থাকলেও এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমানের অবহেলায় এবং মদদে রাস্তা হতে অন্তত ১৫ ট্রলি ব্লাকটপ উধাও হয়ে যায়।

যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা পুনঃনির্মাণের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

এই সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের আগে চুরি যাওয়ার ফলে রাস্তার দুপাশে কোন ব্লাকটপ না দেখা গেলেও সংবাদ প্রকাশের পর ওই রাস্তার দুপাশে নামমাত্র ব্লাকটপ জড়ো করে রাখতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর মোড়ের দোকানদার সেলিম বলেন, “১/২ দিন আগে সামান্য কিছু ব্লাকটপ এনে রাস্তার উপর রাখা হয়েছে।” স্থানীয়রা বলছেন, ওই উপসহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমান ব্লাকটপ বিক্রয় করার অসৎ উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরিয়ে নেয়।

এ বিষয় নিয়ে এলজিইডি কর্তৃক নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকরা জানান, “রাস্তা কার্পেটিংয়ের ব্লাকটপ গুলো আমাদের এক জায়গায় জমা করতে বলা হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার (সবুর রহমান) স্যারের ট্রলি এসে সেগুলো নিয়ে যায়। ১৫ ট্রলি ব্লাকটপ আমরা ট্রলিতে তুলে দিয়েছি”।

শ্রমিক সুপারভাইজার আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ” ব্লাকটপ গুলো আমাকে একজায়গায় করতে বলা হলে আমার শ্রমিক দিয়ে সেগুলো জড়ো করি। পরে ইঞ্জিনিয়ার (সবুর রহমান) স্যারের ট্রলি এসে সেগুলো নিয়ে যায়।

” ৪ নং আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু ((মাস্টার))বলেন ” নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। উধাও হওয়া ব্লাকটপ না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ” কিছু গরীব মানুষ রাস্তা থেকে ব্লাকটপ বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান সাহেব জানালে আমি সেগুলো ফেরৎ নিয়ে আসি।” ১৫ ট্রলি ব্লাকটপ কোথায় গেলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন “স্থানীয় জবই নামক স্থানে ব্লাকটপ রাখা আছে “।

ব্লাকটপ স্ব অবস্থান থেকে কেন নিয়ে আসা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি।

এমতাবস্থায় উধাও হওয়া ব্লাকটপ ফিরে নিয়ে এসে মজবুত ভাবে রাস্তা সংস্কার করা হোক এবং উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমানের বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক এমনটাই দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের।

 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত