আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:১০

নিলাম খেলায় ধংশের দাড়প্রান্তে ধোপাজান নদী

 

সুনামগঞ্জের ইজারা বিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে প্রতিনিয়ত পাথর কুঁড়িয়ে চলছে হাজারো শ্রমিকের জীবন জীবিকা। বার বার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা করা হলেও এসব নিষেধাজ্ঞা মানছেনা নদীর পাড়ে থাকা হাজারো অসহায় দিনমজুর বারকি শ্রমিকেরা। তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের চোখের সামনে চলতি নদী ধোপাজান নদীর তীরে পাথর কুঁড়িয়ে বালু ও পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে চালাচ্ছে তাদের জীবন জীবীকা ও হাজারো শ্রমিকের পরিবার। আর এসমস্ত শ্রমিকদের পুঁজি করে অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কিছু প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মিলিয়ে নিলাম খেলায় মেতে উঠেছেন অধিক মোনাফার লোভে।

পরিবেশ বিনষ্ট করে তিলে তিলে ধোপাজান নদীকে ধ্বংস করে এখন বানানো হচ্ছে সিন্ডিকেটের মহাসাগর। পরিবেশ বাদীরা এখন পরিবেশ বিনষ্ট করার কাজ করে চলেছেন নিরবে। তিলে তিলে নদীর পাড় ভাঙ্গঁনে ও ধোপাজান নদীর পরিবেশ ধ্বংস করার সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন তারা। শুধু তাই নয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশ, বিজিবির কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মিলে ধোপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার পরিবর্তে ধ্বংস করে চলেছেন নিলাম খেলার মাধ্যমে। সরকারী কোষাগারে অর্থ জমানোর নেশায় মেতে উঠেছেন সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। তারা ভুলে যাচ্ছেন পরিবেশ রক্ষা করার চিন্তা ভাবনা।
তাদের মাথায় এখন একটি চিন্তাই কাজ করে শুধু নিলাম খেলা। অপেক্ষায় প্রহর যেন তাদের নিত্য দিনের সাথী। নদী থেকে পাথর উঠাঁনো, নদীর পাড় কেটে পাথর জমানোর কোন বাধাঁ নেই। নিয়ম শুধু একটাই প্রশ্ন করলে উত্তর মিলে দিন মজুর শ্রমিকেরা ধোঁপাজান নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলণ করতে কোন বাধাঁ নেই। কিন্তু ঐ পাথর ও বালু নিলামের মাধ্যমে ধোপাজান নদীর ভিতর থেকে বাহির করার সুকৌশল হিসেবে নিলামের নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাহির করার অনুমতি পাবে। যে পাথর নিলাম হয় তার চেয়ে চৌদ্দগুন বেশি বালি ও পাথর বাহির করার রাস্তা তৈরী করে দেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ঐ সমস্ত অসাধু কর্মকর্তারা।

সরকারী কোষাগারে ১টাকা জমাকরে, পাঁচ টাকা যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পকেটে। একলক্ষ ঘনফুট পাথর নিলাম হলে পাঁচ লক্ষ ঘনফুঁট পাথর বাহির করার সুযোগ করে দেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। আর এদের সাথে রয়েছে কিছু অসাধু দালাল রুপি সাংবাদিক নামধারী সাধু ব্যাক্তিরা। যারা ধরি মাছ না ছুই পানি হয়ে চাদাঁবাজিতে মেতে উঠেছেন প্রতিনিয়তই। দেখেও না দেখার ভান করেন সামান্য মুনাফার লোভে কলঙ্ক করে চলেছেন সাংবাদিক সমাজকেও।

ধোঁপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সত্য বাস্তবতা নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে অনেক সাংবাদিকদের পড়তে হয়েছে সিন্ডিকেটের হুঁমকির মুখে।
অথবা অসাধু কর্মকর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিতে। কি আর করা পেশাগত দায়িত্ব বজায় রাখতে কিছু কিছু সাংবাদিকরা মামলা হামলার তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যান তাদের সত্য প্রকাশের অবিরাম প্রতিবেদনের পথ চলা।

বার বার প্রশাসনের কাছে ধোপাজান নদীর পাড় কাটা ও পরিবেশ রক্ষা করা নিয়ে জানতে চাইলে একটাই উত্তর মিলে, যা শুনতে শুনতে সাংবাদিকদের কান ভারি হয়ে উঠেছে। তারাশুধু বলেন আমরা আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহন করবো। অথচ যা কিছু হচ্ছে সকলের সামনে প্রকাশ্যেই হচ্ছে। রক্ষকরাই যদি বক্ষক হন তখন তাদের ব্যবস্থা কে নিবে। সেটাই এখন সময়ের দাবী বলে মনে করেন নদীর পাড়ে থাকা নিরীহ মানুষেরা, যাদের বুক ফাটেঁতো মুখ খুলেনা।
উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরবে অনুনসন্ধাঁন করে সরেজমিনে সুনামগঞ্জ এসে ধোপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এবং নিলাম সিন্ডিকেট বন্ধ করে শ্রমিকদের দু-মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য নদীর পাড় কাটা বন্ধসহ সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বন্ধ করে ভারত থেকে পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা অফুরন্ত বালুর চর হইতে শুধুমাত্র বারকি নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহন করে দিবেন এমটানই প্রত্যাশা দিন মজুর শ্রমিকদের।######

আরো সংবাদ