‘অনুতপ্ত’ রাঙ্গাঁ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নূর হোসেনের পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।
গত ১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির গণতন্ত্র দিবসের (শহীদ নূর হোসেন দিবস) আয়োজনে তিনি নব্বইয়ের গণআন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে ‘মাদকাসক্ত’ আখ্যা দেন।
পরে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠে সমালোচনার ঝড়। নূর হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রাঙ্গাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতেও প্রস্তুত।
এ বিষয়ে এরশাদের ভাগিনা রাঙ্গাঁ বলেন, “গত ১০ নভেম্বর তারিখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরোয়াভাবে আয়োজিত গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা সভায় আমার কিছু বক্তব্য নিয়ে কোনো কোনো মহল এবং বিশেষ করে নূর হোসেনের পরিবারের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।”
প্রতি বছর নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে কয়েকটি সংগঠনের আলোচনা, বক্তব্য ও বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদকে ‘হেয় প্রতিপন্ন করা হয়’ বলে অভিযোগ করেন জাপা মহাসচিব।
তিনি বলেন, “এমনকি তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয়। এর ফলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
“সেই প্রেক্ষিতে কর্মীদের উত্তেজনার মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে আমার মুখ থেকে নূর হোসেন সম্পর্কে কিছু অযাচিত কথা বেরিয়ে গেছে,যা নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মনে আঘাত করেছে। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।”
নূর হোসেনের মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “নূর হোসেনের পরিবারের প্রতি আমাদের প্রয়াত চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদও সমব্যথী ছিলেন। অতএব অসতর্কভাবে বলে ফেলা আমার বক্তব্যে যে আঘাত লেগেছে. তার জন্য আমি নূর হোসেনের মায়ের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।”
রাঙ্গাঁ বলেন, তার যে বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, সেসব বক্তব্য ‘প্রত্যাহার’ করে নিচ্ছেন তিনি।
“আমি আশা করি, এই বিষয়ে আর কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।”