আজ - বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৩:৪৮

নেইমারের পিএসজিকে মাটিতে নামাল বায়ার্ন

স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের শুরু থেকেই সুপ্ত আগ্নেয়গিরির লাভার মতো থেমে থেমে ফুসছিল অ্যালিয়েনজ এরিনা। বায়ার্ন মিউনিখ দল মাঠে নামতেই উষ্ণ অভ্যর্থনাটাও কেমন জ্বলে উঠেও নিভে গেল। বোঝা যাচ্ছিল, এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম দেখায় তেতো স্বাদটা এখনো মনে রেখছে মিউনিখবাসী। সেই সঙ্গে চেনা চেহারার এক বুড়োকে দেখা যাচ্ছিল ডাগ আউটে। ইয়ুপ হেইঙ্কেসের প্রথম বড় ইউরোপিয়ান পরীক্ষার রাত। জার্মান সাম্রাজ্যের বহুল পরীক্ষিত সেনাপতি যেন সম্মান পুনরুদ্ধারের মহারণে নেমেছিলেন। টানটান উত্তেজনার চ্যাম্পিয়নস লিগের রাতে অনেকেই চোখ রেখেছিলেন এই ম্যাচে।

মূল একাদশে ছিলেন না থমাস মুলার। তাতে বয়েই গিয়েছে বায়ার্নের। সাত মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দিলেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি। তবে এই গোল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পোলিশ স্ট্রাইকারকে অফসাইড ভেবে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন পিএসজি ডিফেন্ডাররা। কিন্তু রেফারির বাঁশি ঠিকই মনে রেখেছেন বায়ার্ন ফরোয়ার্ড। পোস্টের ডান প্রান্তে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে গোল করেছেন তিনি। রিপ্লেতে দেখা যায়, দানি আলভেজের ভেতরে দৌড়ে আসায় অনসাইড হয়েছেন লেভা। আসলে লাইনসম্যানের বাঁশি শোনার আগে খেলা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকার খেসারত দিয়েছে পিএসজি।

গোল খেয়ে দ্রুতই বল নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে পিএসজি। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত পিএসজি। কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়িয়ে দেওয়া বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার। উল্টো এর মিনিট চারেক পর বায়ার্নকে আবারও এগিয়ে দেন কোরেন্টিন তোলিসো। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলতে আসা হামেস রদ্রিগেজের ক্রস থেকে গোল করেছেন তোলিসো, ২-০–তে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা। স্কোরলাইনে আর কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন পিএসজি খেলোয়াড়েরা। ৫০ মিনিটে গোল করে ফরাসি ক্লাবটিকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে এসে হেডে গোল করেন এমবাপ্পে, ২-১। যখনই মনে হচ্ছিল নেইমাররা নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন, তখনই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তোলিসো। ৭২ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় কিংসলে কোমানের ক্রস থেকে আসে এই গোল। ৩–১ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।

বাকি সময়জুড়ে আক্রমণ–প্রত্যাক্রমণ চলতে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। শেষ ষোলোতে দুই দলের এগোনো নিশ্চিত হওয়ায় ম্যাচটি ছিল আধিপত্য বিস্তারের। নেইমারের আকাশছোঁয়া দলবদলের পর আকাশে উড়তে থাকা পিএসজিকে মাটিতে নামিয়ে আনল হেইঙ্কেসের বায়ার্ন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত