স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা: খুলনার পাইকগাছায় সরকারি নীতিমালা ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট ক্লিনিক ও প্যাথলোজি সেন্টার। যেখানে নেই নিয়মিত ডাক্তার, দক্ষ নাসর্ ও উপযুক্ত পরিবেশ।
অপচিকিৎসায় প্রতিবছর এসব ক্লিনিকে রোগী মারা যাচ্ছে; যা নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালেখি হলেও কতৃর্পক্ষের টনক নড়ছে না। ফলে আরও জোরেশোরে চলতে থাকে এসব ক্লিনিকের কাযর্ক্রম। অভিযোগ আছে, এক শ্রেণির ডাক্তার, নাসর্ ও দালালরা বিভিন্ন টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অথর্। উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক, প্যাথলোজি ও ডেন্টাল ক্লিনিকে চলছে এ ধরনের কাযর্ক্রম।
এ ছাড়া ক্লিনিকগুলোর সামনের দেয়ালজুড়ে অসংখ্য ডাক্তারের নাম দেয়া থাকলেও খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে এসব ক্লিনিকে সাবর্ক্ষণিক কোনো ডাক্তার বা নাসর্ থাকেন না। অনেক সময় ডাক্তার নামধারী প্রতারক ও নাসের্র মাধ্যমে ভুল অপারেশনে অনেক রোগীর মৃত্যুও ঘটেছে। এরইমধ্যে বুধবার আশালতা নামে লাইসেন্সবিহীন একটি ক্লিনিককে অবৈধ কাযর্ক্রম পরিচালনা করার অপরাধে এর মালিককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদলত।
স্থানীয়দের দাবি দ্রæত এ ধরনের সব ক্লিনিকগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে সাধারণ জনগণ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কমর্কতার্ মুকুল কুমার মজুমদার জানান, এধরনের ক্লিনিক বা প্যাথলোজি সেন্টারগুলোতে দ্রæত অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।