আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:১২

নে’শা’র টাকা না দেয়ায় মাকে হ’ত্যা: ছেলের আ’মৃ’ত্যু কা’রা’দ’ণ্ড

মা শেফালী বেগমের কাছে ১০ হাজার টাকার আবদার ছিল নেশাগ্রস্ত ছেলে জাফরের। মা টাকা না দেয়ার রাগান্বিত হয়ে জাফর তার মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পিতার দায়ের করা মামলায় ছেলে জাফরকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময় তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত মো. জাফর (২৭) জেলার রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির হোসেন আলীর ছেলে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চাকরি হারিয়ে আসামি জাফর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাদক সেবন শুরু করেন। এ জন্য জাফরকে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়। ওই ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন সময় তিনি তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন। ঘটনার দিন ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট সকালে ১০ হাজার টাকা দাবি করলে ৬০ বছর বয়সী মা শেফালী বেগমের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাফর তার মাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না। এ ঘটনার পর রাতেই ছেলেকে একমাত্র আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা করেন বাবা হোসেন আলী।

ঘটনার পরদিন আসামি জাফরকে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন।

এ বিষয়ে জাফরের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালত আমাকে জাফরের আইনজীবী নিয়োগ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাফর বেকার হয়ে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। সে পুরোপুরি মাদকাসক্ত এবং মানসিকভাবে বিকারগস্ত হয়ে যায়। এ জন্য সে তার মাকে হত্যা করেছে। সুস্থ মস্তিষ্কে সে হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়নি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব উচ্চ আদালতে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট আসামি জাফর শুধু নেশার ১০ হাজার টাকার জন্য তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ মামলায় জাফর একক আসামি। রায়ের সময় জাফর আদালতে উপস্থিত ছিল।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত