হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের গণধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশে এ নির্দেশ দেন তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা প্রতিটি ইউনিট যার যার এলাকায় থাকবেন। যেখানেই নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হবে সেখানেই আপনারা তাদের গণধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন৷’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে’ এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
জয় বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামকে পুঁজি করে যদি কেউ অপরাজনীতি বা বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাহলে আমরা ছাত্রলীগ তাদের কোনোভাবে ছাড় দিব না।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার এই সফরের বিরোধিতা করে শুক্রবারই জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গেও মোদির সফরবিরোধীদের সংঘর্ষ হয়।
জাতীয় মসজিদের এই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মারা যান চার জন। একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়ও।
এসব ঘটনার পর শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ ও রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
এমন প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শুক্রবার রাতেই সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।