নড়াইল সদরের ধোপাখোলা এলাকায় ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী মুজিবর রহমানকে (৫০) গুলি করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গ দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেফতারকৃত নাইমুন ইসলামকে (২৫) সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। নাইম যশোরের কোতোয়ালি থানার রঘুরামপুর এলাকার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে। এর আগে গত সোমবার দুপুরে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিজে নাইমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছুরি ঘটনাস্থল নড়াইলের ধোপাখোলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, গত ১০ এপ্রিল নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার সমির মোল্যার ছেলে তরিকুল ইসলাম (২২) এবং শহরের ভওয়াখালীর নতুনপাড়ার ইলাহী মোল্যার ছেলে কাদের মোল্যাকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আমির হোসেন জানান, ছয় আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী তিনজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল ভূক্তভোগী মুজিবর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরেরদিন যশোর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মুজিবরের ডান পা কেটে ফেলতে হয়।
মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নড়াইল সদরের ধোপাখোলা এলাকায় দু’টি মোটরসাইকেলযোগে এসে ছয়জন দুর্বৃত্ত ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মুজিবরের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মুজিবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে পায়ে গুলি করে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরিবারের লোকজন মুজিবুরকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মুজিবর ধোপাখোলা এলাকায় বাড়ির পাশেই ভাঙ্গারি ব্যবসা করেন।