আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:২৫

পদ্মা সেতুর ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ১৯তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুর ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
বুধবার সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটিতে ৪-সি নম্বর স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়েছে। এর আগে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার কন্সস্ট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ৪-সি নম্বর স্প্যান নম্বর স্প্যান নিয়ে ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ স্প্যানটি পাজা করে রওয়ানা দেয়। বেলা ১১টার কিছু সময় আগে জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটির কাছে পৌছে। এরপর সব কাজ শেষে দুপুর দেড়টায় স্থায়ীভাবে স্প্যানটি বসানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর মোট ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে বলে বাসসকে জানান সেতুর প্রকৌশরী হুমায়ুন কবির।
২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ১৩টি স্প্যান বসেছে। ২৮ অথবা ২৯ ডিসেম্বর ‘৩এফ’ নম্বরের ২০তম স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর খুঁটিতে বসার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই সেতুর ১৪টি স্প্যান দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৭ সালে ১টি, ২০১৮ সালে ৫টি এবং ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বসছে আরও ১টি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই ১৪টি স্প্যান বসানো হচ্ছে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই শুধু ৪টি স্প্যান বসবার কথা রয়েছে। এভাবেই এখন একের পর এক উঠবে স্প্যান। আর দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর আরও জানান, এ পর্যন্ত ৩৩টি স্প্যান মাওয়ায় পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ১৯টি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৫ টি স্প্যান মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ৯টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় অস্থায়ী স্টক ইয়ার্ডে রাখা আছে। যা খুঁটির ওপর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আরও চারটি স্প্যান চীন থেকে মাদার ভ্যাসেলে করে সমুদ্র পথে রওনা হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছে।
এছাড়া সেতুর ৪২ খুঁটির মধ্যে ৩৫টি স¤পন্ন হয়েছে। গত বুধবার সর্বশেষ ৬ নম্বর খুঁটির কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ নম্বর খুঁটির কাজ এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাজও এগুচ্ছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৪২ খুঁটিতে ৪১টি স্প্যান বসবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। দ্বিতল এ সেতুর উপরিভাগ দিয়ে চলবে গাড়ি আর নীচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত