মুনতাসির মামুন।। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার পক্ষথেকে অব্যাহত থাকবে ত্রাণ বিতরণ। আজ শনিবার খোলাডাঙ্গায় ত্রাণ বিতরণ কালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম এসব কথা বলেন। খোলাডাঙ্গা কলাবাগান পাড়া এলাকায় ১০০ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণ কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহারুল ইসলাম বলেন আমার ইউনিয়নে কোন পরিবার ভর্তুকি পেতে বাকী নেই। যার বাচ্চা স্কুলে যায় প্রাইমারি হলে ৩০০ টাকা হাইস্কুল হলে ১৮০০ টাকা অন্যান্য ভর্তুকি বয়স্ক হলে ৩০০০ টাকা, প্রতিবন্ধী হলে ৪৮০০ টাকা, গর্ভকালীন মায়েরা ৭৫০০ টাকা করে পেয়েছেন ঈদের আগে। আবার এই ইউনিয়নে ১ হাজার মানুষ ঈদ উপহার হিসেবে ২৫০০ টাকা করে পেয়েছেন। অর্থাৎ ৮ হাজারের অধিক মানুষ শেখ হাসিনার ভর্তুকি পেয়েছেন ।
কে কোন দলে ভোট দেন সেটা বিষয় না । যে মানুষটা আপনাদের জন্য এত কিছু করেছেন সেই মানুষটির প্রতি শুকরিয়া আদায় করে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলেন, তার জন্য দোয়া করেন। আমি এরশাদ সরকার বেগম জিয়ার সরকারের শাসন আমল দেখেছি । বর্তমানে ক্ষমতাশীল দলের একজন কর্মী আমি । আমার নেত্রীর শাসন আমলও দেখছি মানুষ কি চায় , কে কোন কষ্টে আছে তার খবর তিনি রাখেন । এজন্য সকলের তার জন্য অন্তর থেকে দোয়া করবেন ।
প্রতিবার ঈদের সময় আমরা সেমাই চিনি প্রদান করি এবারও দিয়েছি। করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষের কর্মহীনতার কথা ভেবে এবার সেমাই চিনির সাথে মুরগিও দিয়েছি । আমরা আবারও ত্রাণ দেয়া শুরু করেছি এবং নিয়ত করেছি যতদিন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন শেখ হাসিনার পক্ষথেকে আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ত্রাণ যাতে সঠিক লোকের হাতে পৌঁছায় সে লক্ষ্যে আমি কোন কর্মীর উপর দায়িত্ব প্রদান করিনি। ভাই বন্ধু নিকট আত্মীয় বলে খাতির করার কোন সুযোগ রাখি নাই। আমি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে অসহায় মানুষের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য উজ্জ্বল রহমান , আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ হোসেন, নূর ইসলাম নূর , আশিকুর রহমান , মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী জেসমিন আক্তার ,শিরিনা পারভিন , মনিরা , জোসনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন সাজু , মফিজুর রহমান , সুমন পাটোয়ারী , বাবুল ইসলাম ধর্মতলা ইজিবাইক মালিক চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ।