কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটিকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্ধুত্বপূর্ণ সুরে এই আহ্বান জানায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের মতে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ইস্যুটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রেক্ষিতে গতকাল পাকিস্তান যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দুঃখপ্রকাশ করছে ভারত সরকার।
আরও জানায়, কূটনৈতিক যোগাযোগের স্বাভাবিক উপায়গুলো টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানকে এসব সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছে ভারত।
গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে সোমবার নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করে।
এছাড়া অঞ্চলটিকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। দেশটির লোকসভায় ৬ আগস্ট এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়।
ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।