অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেতা শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে সময় এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী গোলাম ফাত্তাহ। এসময় সুমনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলেও পাপিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি। অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালত আগামী রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলাটিতে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এর আগে ২৩ আগস্ট একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সঙ্গীসহ পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনকে আটক করে র্যাব-১। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দু’টি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।