যৌতুক দাবির অভিযোগে পুলিশ সদস্য সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর সদরের শাখারিগাতি গ্রামের হাশেম আলীর মেয়ে সুমনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। সুমন হোসেন মণিরামপুরের জয়পুর গ্রামের মৃত ইনতাজ গাজীর ছেলে ও মেহেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সঞ্জীব কুমার সরকার।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট সুমনা খাতুনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন সুমন হোসেন। বিয়ের সময় সুমনের পরিবারের দাবি অনুযায়ী গহনা, আসবাবপত্র ও সংসারের যাবতীয় মালামাল দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সুমন তার স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি সুমনা তার পরিবারকে জানালে সুমনকে ২ লাখ টাকা দেয়া হয়। এ টাকা কিছুদিনের মধ্যে খরচ করে সুমন আবারও ৫ লাখ টাকা দাবি করে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। সুমনা নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করে আসছিলেন। গত ৮ নভেম্বর সুমন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের টাকা চেয়ে মারপিট করে দুই মেয়েসহ পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেন। ১৫ নভেম্বর সুমন তার পরিবারের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।