যশোরে চাঁদাবাজির মামলা রেকর্ডে পুলিশের তালবাহনার পর আদালতের নির্দেশে বাধ্য হলো পুলিশ। গত ৮ আগস্ট সদর উপজেলার রূপদিয়া এক প্রবাসির স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবিতে জমি দখল, ভাংচুর ও গাছপালা কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একই এলাকার প্রবাসি আব্দুল আহাদের স্ত্রী শাহানারা খানম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৩ জনের বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেছে।
আসামিরা হলো-একই এলাকার মৃত আব্দুল আলীর দুই ছেলে আশরাফুজ্জামান ও ফরহাদ হোসেন এবং ফরহাদ হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী।
বাদী শাহানারা খানম মামলায় বলেছেন,বাদীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। একটিমাত্র শিশু মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। বিভিন্ন সময় বাদীর স্বামীর সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে আসামিরা। এরআগে জমি দখলের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় বাদীকে মারপিটের চেষ্টা করে। ফলে গত ১৫ জুলাই বাদী কোতোয়ালি থানায় ১০৪৮ নম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই জিডি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে আরো বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে বাদীর নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তন হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ৮ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ওইতিনজন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে সাথে নিয়ে দেশিয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাড়িতে যায়। এসময় তাদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। গালি দিতে নিষেধ করায় ক্ষীপ্ত হয়ে বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। একই সাথে ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বিভিন্ন ধরণের গাছপালা কেটে ফেলে। এরপরে বাদীর স্বামীর জমি দখল করে নেয়।
এসময় বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে বাদী হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বাধ্য হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন ওসি আব্দুর রাজ্জাক।