যশোরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার চাঁচড়া ভাতুড়িয়ায় রাতুল ওরফে লিখন (১৬) নামে এক কিশোরকে মারপিটে জখমের ঘটনায় কোতায়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় তিন আসামিকে আটক করেছে।
লিখনের মা চায়না চাঁচড়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ও ভাতুড়িয়া কলেজের সহকারী শিক্ষক চায়না খাতুন (৫৫) ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আটক আসামিরা হলো, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার মোক্তার হোসেনের ছেলে রফিকুল (১৯), মৃত আলমের ছেলে সজিব ওরফে রবিন (২০) এবং রেজাউল করিমের ছেলে হৃদয় (২০)।
অন্য আসামিরা হলো, রেলগেট হোটেল শাহরিয়ারের পেছনে মৃত ইয়াছিনের ছেলে রোহিদ (২০), চাঁচড়া ডালমিল এলাকার আরিফের ছেলে মিরাজ (১৯) এবং রেলগেট রায়পাড়ার হিরুর ছেলে হিমেল (১৯)।
এজহারে চায়না খাতুন উল্লেখ করেছেন, গত ২ জুন বিকেলে চাঁচড়া কালাবাঘা শ্মশানের কাছে অজ্ঞাত এক যুবকের সাথে মেয়েলী ঘটনায় নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ছেলের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। সে সময় অজ্ঞাত ওই যুবক মোবাইল করে আসামিদের ডেকে নিয়ে আসে। তারা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাতুড়িয়া বাজারে দা, লোহার রড, চাকু প্রভৃতি নিয়ে স্থানীয় লোকজনকে খুঁজতে থাকে। সে সময় তার ছেলে চাবি দেয়ার জন্য তার কাছে যাচ্ছিল। তাকে পেয়ে আসামিরা ধাওয়া করে। তার ছেলে লিখন ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে ভাতুড়িয়া কলেজের মধ্যে ঢুকে অফিস কক্ষে আশ্রয় নেয়। আসামিরাও পিছু ধাওয়া করে অফিসের মধ্যে ঢুকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। সে সময় তিনিসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তার ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, মামলা হওয়ার পর সোমবার ভোরে চাঁচড়া রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল, রবিন ও হৃদয়কে আটক করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।