নির্বাচনী সংবাদ : ফরিদপুর ও মধুখালী দুটি পৌরসভায় (ইভিএম) এ ভোট গ্রহন চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর সেন্টারে ও সারদা সুন্দরী স্কুলের সেন্টারে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সাথে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুর সদরে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অমিতাভ বোস (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নায়াব ইউসুফ (ধানের শীষ), ইসলামী মাসনতন্ত্র মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম (হাত পাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মাহাতাব আলী মেথু (নারকেল গাছ)।
তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর শেখ মাহাতাব আলী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে বর্ধিত পৌরসভার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯৩ এবং মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদন্দ্বিতা করছেন। মোট ৬৭টি কেন্দ্রে ৩৯২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফরিদপুর পৌরসভার মোট ভোটার এক লাখ ৪৮ হাজার ২৭৯ জন।
অপরদিকে মধুখালীতে মেয়র পদে দুইজন প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার মোর্শেদ আহমেদ লিমন (নৌকা) ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দীন আহমেদ সতেজ (ধানের শীষ)।
মধুখালীতে নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিন্দ্ব্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রে ৫৯টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। মধুখালীর মোট ভোটার ১৯ হাজার ৯৯০ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, এ নির্বাচনে ৬০৭ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর পৌরসভায় ২৭ জন এবং মধুখালীতে ৬জন কর্তব্যরত থাকবেন।