ফরিদপুরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে শিশু–নারীসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাতটার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাতজনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন এক পুরুষ (৫০) ও এক নারী (৪০)। এ ছাড়া ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম আমেনা বেগম (৫৮)। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর তাঁতিপাড়ার হুজুর আলীর মেয়ে। হাসপাতালে মৃত বাকি চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও একটি শিশু।
করিমপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাওসার হোসেন বলেন, মাইক্রোবাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুরের দিকে আসছিল। মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দির মোড়ে পারিশা ফিলিং স্টেশন থেকে একটি ট্রাক জ্বালানি নিয়ে মহাসড়কে ওঠার সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও একজন পুরুষ নিহত হন। আহত হন মাইক্রোবাসের ১০ যাত্রী।বিজ্ঞাপন
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা টিটো সিকদার বলেন, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার পর চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন নারী মারা যান। এ নিয়ে হাসপাতালে মারা যান মোট পাঁচজন।
এই হাসপাতালে ঝিনাইদহের মহেশপুরের কৃষক মো. কুদ্দুস (৩০), মুন্নি (৩৫), আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং তিন বছর বয়সী এক ছেলেশিশু চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে আহত আইনজীবী আব্বাসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আইনজীবী আব্বাসকে চেনেন সামিউল ইসলাম নামের এক কৃষক। সামিউলের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর হলেও তিনি থাকেন ফরিদপুরের কানাইপুরে।
সামিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা নিয়ে কিছু সমস্যা হওয়ায় আব্বাস ও আরেক আইনজীবী মোহাম্মদ আলী এলাকার লোকদের নিয়ে ঢাকার নবীনগরে একটি ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা।