সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জেলা জামায়াতের আমীর ও সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সাবেক সাংসদ খালেক মন্ডল মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে খুলনা জেলা কারাগারের প্রিজন সেলে তার মৃত্যু হয়। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের মৃত চান মন্ডলের পুত্র।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক মন্ডলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
গত ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় খালেক মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় সাবেক এই সাংসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে জানতে ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট তদন্ত শুরু কজরে। যা চলে ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেক মন্ডল, শহরের পলাশপোল এলাকার খান রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সেখানে মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে ট্রাইব্যুনাল তাদের ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়াদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) মারা গেলেন খালেক মন্ডল। শুধুমাত্র খান রোকনুজ্জামান বেঁচে থাকলেও পলাতক রয়েছেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।